Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ইয়ামাহা r15 v4 এবং r15M : ইন্দোনেশিয়ান বনাম ভারতীয় : ১৮.১০ বিএইচপি বনাম ১৯.০৪ বিএইচপি

Yamaha r15 v4 and r15m indo

২০২১ সালেই উদ্বোধন হয়ে গেছে Yamaha r15 v4 এর ভারতীয় এবং ইন্দোনেশিয়া সংস্করণ। আগে বের হয় ভারতের সংস্করণ। কী হতে পারে বাজার পরিস্থিতি? কে সব মিলিয়ে কোনটা এগিয়ে থাকতে পারে? কেন পারে? ইত্যাদি বিষয় নিয়েই আজকের আলোচনা ধর্মী পোস্ট।
Yamaha r15 v4 and r15m india

Yamaha r15 v4 এবং Yamaha r15M ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে, অন্যদিকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে উদ্বোধন করা হয় ইন্দোনেশিয়ায়। দুই সংস্করণের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে।


যেমন-

ইন্দোনেশিয়ান v4 এ বের করা হয়েছে দুটো রং। একটি Icon Blue, অপরটি Black। এদিকে, r15M-ও বের করা হয়েছে দুটো রংয়ে। একটি White ও Silver। সাদাটিকে ইয়ামাহার ভাষায় বলা হয়- Raceing Blood Of Yamaha.

এদিকে, ভারতীয় v4 এর রংগুলো হচ্ছে- METALLIC RED, DARK KNIGHT,RACING BLUE. r15M এর রংগুলো হচ্ছে- METALLIC GREY, Monster Energy Yamaha MotoGP Edition.

দেখা যাচ্ছে- শুধুমাত্র সিলভারের দিক থেকে উভয় দেশের সংস্করণে মিল রয়েছে।
Yamaha r15 v4 (indian) Racing Blue


ভারতীয় সংস্করণের সাথে ইন্দোনেশিয়ান সংস্করণের অন্যতম আরেকটি পার্থক্য ইঞ্জিন পাওয়ারের দিক থেকে। ভারতীয় সংস্করণের ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ পাওয়ার ১৮.১০ বিএইচপি এবং ইন্দোনেশিয়ানটির ১৯.০৪ বিএইচপি।

দেখা যায়- ভারতীয় থেকে ইন্দোনেশিয়ানে ইঞ্জিন পাওয়ার দশমিক ৯৪ বেশি।
Yamaha r15m White (Racing Blood of Yamaha)- ABS


পার্থক্য আছে সর্বোচ্চ টর্কের দিক থেকেও। ইন্দোনেশিয়ানের টর্ক ১৪.৭ নিউটন মিটার, যা ভারতীয় সংস্করণের চেয়ে দশমিক ৫ নিউটন মিটার বেশি।


তাছাড়া ভারতীয় সংস্করণগুলোয় টায়ার হিসেবে রয়েছে- এমআরএফ এবং ইন্দোনেশিয়ানে রয়েছে আইআরসি।

বাংলাদেশের r15 লাভার ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আপত্তি শোনা গেছে, r15 v3 bs6 (Indian) এর সম্পর্কে। কেননা, ইঞ্জিন পাওয়ারের দিক থেকে r15 v3 ইন্দোনেশিয়ান থেকে r15 v3 bs6 কম ছিল। আরও কিছু আপত্তি ছিল টেলিস্কপিক সাসপেনশন, বিল্ট কোয়ালিটির বিষয়ে।
Yamaha r15m-indian


এবারও এমন আপত্তির জাল মুক্ত হতে পারছে না ভারতীয় v4 এবং r15M.কেননা ইঞ্জিন পাওয়ার, টর্কের দিক থেকে এগুলোও ইন্দোনেশিয়ান সংস্করণের কাছে ধরাশায়ী। তবে ভারতীয় v4 এবং r15M এ ইউএসডি সাসপেনশন দেয়ায় এ সংক্রান্ত আপত্তিটা থাকলো না।

কথা রয়ে গেল বিল্ট কোয়ালিটি নিয়ে। ভারত ইয়ামাহার দাবি অনুযায়ী- বিল্ট কোয়ালিটির দিক থেকে তারা এবার আরও এগিয়ে গেছে। অর্থাৎ আর ১৫ ভি থ্রি থেকে v4 এবং r15M এর বিল্ট কোয়ালিটি উন্নত।
Yamaha r15m-indonesian

তা সত্বেও বাংলাদেশের r15 লাভার-ব্যবহারকারীদের দৃঢ় বিশ্বাস ভারতীয় সংস্করণের চেয়ে ইন্দোনেশীয় সংস্করণের বিল্ট কোয়ালিটি আরও উন্নতমানের। কেননা, অতীতে আর ১৫ ভি৩, এমটি ১৫ এর ক্ষেত্রে এমনটাই দেখা গেছে এবং যা শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। যদিও ভারতীয় সংস্করণগুলোর চেয়ে ইন্দোনেশীয় সংস্করণের দাম থাকে অনেক অনেক বেশি। তারপরও ইন্দোনেশীয় সংস্করণের বড় ভক্তদল রয়েছে বাংলাদেশে। r15 v3 এর সময় দেখা গেছে, ইন্দোনেশিয়ান সংস্করণে এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম না থাকা সত্বেও সেটির দিকেই ঝুঁকেছেন  ইন্দোনেশীয় সংস্করণের ভক্তরা। ভারতীয় সংস্করণ ক্রয় করলে পয়সা বাঁচবে- এমন চিন্তা কিছু তাদেরকে গ্রাস করতে পারেনি।

ভারতের বাজারে Yamaha r15 v4 এবং r15M indian সংস্করণ বের হবার পরই ইন্দোনেশিয়ান সংস্করণ প্রেমীরা অপেক্ষায় ছিলেন যে, কবে বের হবে ইন্দোনেশিয়া সংস্করণ।
Yamaha r15 v4 icon blue (indonesian)

ইন্দোনেশিয়ান সংস্করণ প্রেমীদের মধ্যে দাবি ছিল, যেন r15 v4 এবং r15M এ ভারতীয় সংস্করণের মতো এবিএস ব্রেকিং যুক্ত করা হয়। দেখা গেছে, এই দাবিখানা কিঞ্চিত পূরণ হয়ে গেছে। কিঞ্চিত বলার কারণ- ভারতের সংস্করণের প্রতিটিতে ডাবল চ্যানেল এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম যুক্ত করা হলেও ইন্দোনেশিয়ানে শুধুমাত্র আর ১৫এম এ যুক্ত করা হয়েছে ডাবল চ্যানেল এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম।

বাংলাদেশের বাজারে ভারতীয় আর ১৫ ভার্সন ৪ আনঅফিসিয়ালভাবে বিক্রি করা হয়েছে ৫ লাখ টাকায় এবং আর ১৫ এম বিক্রি করা হয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকায়।
Indian Yamaha r15 v4
ধারণা করা যায়- ইন্দোনেশিয়ান সংস্করণের ভার্সন ৪ বাংলাদেশে আনঅফিসিয়ালভাবে পাওয়া যেতে পারে- ৫ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৬৫ হাজারের মধ্যে। একইসাথে আর ১৫এম আনঅফিসিয়ালভাবে পাওয়া যেতে পারে- ৫ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজারের মধ্যে।

তবে অফিসিয়ালভাবে ইন্দোনেশিয়ানগুলো বাংলাদেশে না আসার আশঙ্কাই বেশি।

বলা বাহুল্য ভারতীয় সংস্করণের মোটর সাইকেলগুলোও ১২ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশে আসেনি।
Indian Yamaha r15 v4

আপাতত ধারণা করা যেতে পারে- ইন্দোনেশিয়ান r15 v4 এবং r15M (গ্রাফিক্স ব্যাতীত) এ যে অনুভূতি পেতে পারেন বাংলাদেশে r15 v4 এবং r15M ক্রয়ে ইচ্ছুরা, সে অনুভূতির অনেকটাই পূরণ করার সক্ষমতা আছে ভারতীয় r15 v4 এবং r15M. যেমন ভারতীয় সংস্করণে ইউএসডি সাসপেনশন সংযোজন। তাছাড়া দামটাও বড় ধরণের একটা ফ্যাক্ট। ইন্দোনেশিয়ান r15 v4 এবং r15M এর মূল্য ভারতীয় সংস্করণের চেয়ে অনেক বেশি হবে- এটা নিশ্চিত।

এদিকে, যারা ইঞ্জিন পাওয়ার নিয়ে অধিক মাথা ঘামান তারা হয়ত ইন্দোনেশিয়ান r15 v4 এবং r15M এর কথা ভাবতে পারেন। এবিএসের কথা ভাবলে ইন্দোনেশিয়ান ভি৪ এর চিন্তা বাদ দিতে হবে। এবিএসের জন্য আর১৫ এম নিতে গেলেও গুণতে হবে মোটা অংক। যা হয়ত অনেকের সাধ্যে কুলাবে না।

পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ