টায়ার জেল দেয়া হচ্ছে |
বাংলাদেশে টায়ার জেল খুব পরিচিত, বহুল ব্যবহৃত এবং সহজপ্রাপ্য একটি পদার্থ হলেও এ নিয়ে অজ্ঞতা, কুসংস্কার ইত্যাদির বাম্পার ফলন দেখা যায়। অভিজ্ঞাতার আলোকে এসব নিয়ে পুরোপুরি লিখার নিয়্যৎ করেছি। একবারে এসব লিখতে গেলে বিশাল উপন্যাস হয়ে যাবে।
তাই চার পর্বে ভাগ করেছি টায়ার জেল নিয়ে পূর্ণাঙ্গ লিখাটি।
সবলেখা মিলিয়ে জানানোর চেষ্টা করব- টায়ার জেলে কী থাকে; বৈশিষ্ট কী; কী পরিমাণে ব্যবহার করা উচিৎ; ছিদ্রের আকৃতি কতটুকু হলে জেল কাজ ঠিকঠাকভাবে কাজ করে, কতদিন পর কীভাবে বুঝব বদলানো উচিৎ; কমবেশি দিলে কী লাভ-ক্ষতি; জেল দিলে টায়ার নষ্ট হবার আশঙ্কা কতটুকু, জেল দিলে বাহনের ব্যালেন্সে কোনো সমস্যা হয় কি-না, জেল ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা, নকল টায়ার জেলে যেসব ক্ষতির আশঙ্কা ইত্যাদি।
এবার পড়ুন তৃতীয় পর্ব। এই পর্বে থাকছে- টায়ার জেল ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা, নকল টায়ার জেলে যেসব ক্ষতির আশঙ্কা।
প্রথম পর্বে ছিল- ‘‘টায়ার জেলে কী থাকে ও বৈশিষ্ট কী; কী পরিমাণে ব্যবহার করা উচিৎ’’।
দ্বিতীয় পর্বে ছিল- ‘‘কতটুকু ছিদ্রে কাজ করবে, কতদিন পর কীভাবে বুঝব বদলানো উচিৎ’’
তৃতীয় পর্বে ছিল- “টায়ার জেল কমবেশি দিলে কী লাভ-ক্ষতি; জেল দিলে টায়ার নষ্ট হবার আশঙ্কা কতটুকু, টায়ার জেল দিলে বাহনের ব্যালেন্সে কোনো সমস্যা হয় কি-না- সম্পর্কে”
**টায়ার জেল ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা : টায়ার জেল যেমনি লাভবান করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্থ করার ক্ষমতাও সংরক্ষণ করে। প্রথমে বলি সুবিধার বিষয়ে-
প্রথম সুবিধা, টায়ার লিক হলেও সেকেন্ডের মধ্যে তা বন্ধ করতে সক্ষম টায়ার জেল। ফলে চাকা পাংচার বাহনকে ঠেলে ওয়ার্কশপে নিয়ে সচল করার ভোগান্তি থেকে সহজেই মুক্তি মিলে যায়। বেঁচে যায় সময়-শ্রম ইত্যাদি।
দ্বিতীয় সুবিধা, একবার টায়ার জেল দিলে তা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন- ‘‘কতটুকু ছিদ্রে কাজ করবে, কতদিন পর কীভাবে বুঝব বদলানো উচিৎ’’।
তৃতীয় সুবিধা, টায়ার জেল প্রাপ্তি, ব্যবহার, পরিবর্তন- সবকিছুই বর্তমানে সহজ।
এবার বলা যাক অসুবিধার কথা।
প্রথম অসুবিধা, টায়ার জেল নজেলের মাঝে থাকা বলটিউব জ্যাম করে ফেলে। এতে সঠিকভাবে যেমনি হাওয়া দিতে কষ্ট, তেমনি টায়ারে হাওয়ার চাপ মাপাও কষ্ট।
নাহ্, আর কোনো অসুবিধা খুঁজে আমি পাচ্ছি না। সরি।
তবে টায়ার জেল যদি নকল হয়, সেক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কা আছে। সুতরাং এ নিয়ে অসুবিধা আরও বাকি। এবার বলব নকল টায়ার জেল ব্যবহারে কী কী ক্ষতি হতে পারে।
প্রথম ক্ষতি, টায়ারের ছিদ্র সিল করে হাওয়া বের হওয়া বন্ধ করতে পারবে না।
দ্বিতীয় ক্ষতি, সময়-অর্থের ১০০ % অপচয়।
তৃতীয় ক্ষতি, টায়ার, নজেল, বলটিউবের ক্ষয়জনিত সমস্যা তরান্বিত হতে পারে।
আসলে নকল জিনিস সবসময়ই ক্ষতিকর। বিশ্বস্ত, সৎ, নির্ভরযোগ্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এসব কেনার চেষ্টা করাই শ্রেয়। কেনার সময় এটাও দেখবেন, জেলের মেয়াদ আছে কি-না।
পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks For Comment.