ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা গেছে, যখন বিএস ৬ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ভারতে শুরু করা হয়, তখন সবার আগে সে দেশের সরকার সেখানকার ফুয়েল পাম্পগুলোকে নির্দেশ দেয় বিএস ৬ মানের জ্বালানি বিক্রি শুরু করতে। পাশাপাশি বিএস ৪ মানের জ্বালানি বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে।
কিন্তু আমাদের দেশে এ ধরণের কোনো কার্যক্রম পরিচালিত হতে দেখা যায়নি। অথচ বিএস ৬ ইঞ্জিনের মোটর সাইকেল বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ হচ্ছে এবং গ্রাহক তা কিনছে।
এরই মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে, বিএস ৬ ইঞ্জিনের মোটর সাইকেল মালিকরা বিপদে আছে। প্রায়শই তারা শরণাপন্ন হচ্ছেন, সার্ভিস সেন্টারের। কেননা, মানহীন জ্বালানি ব্যবহার করতে না পারায় মোটর সাইকেলের ইঞ্জিন পাগলামি করছে। থ্রটল রেসপন্স, মাইলেজে খারাপ অবস্থা নেমে এসেছে।
মোটর সাইকেল ভিত্তিক ভারতীয় বিভিন্ন ওয়েব সাইট পড়ে জানা গেছে, যদি বিএস ৬ মানের জ্বালানি বিএস ৬ ইঞ্জিনের মোটর সাইকেলে ব্যবহার করা না হয়, তাহলে মোটর সাইকেল যথাযথ পারফরম্যান্স দিবে না, এমনকি ইঞ্জিনের দীর্ঘস্থায়িত্ব দ্রুত হ্রাস পাবে।
বর্তমানে ভারতের বাজারে থাকা সব মোটর সাইকেলই বিএস ৬ এবং ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম এফআই। অথচ ঠিক একই মোটর সাইকেলগুলো বাংলাদেশে আনা হচ্ছে- বিএস ৪ ও ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম কার্বুরেটর করে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- ইয়ামাহা আর ১৫ ভার্সন ৩, বাজাজ পালসার এনএস ১৬০ এবিএস, টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৬০ ৪ভি এবিএস ইত্যাদির কথা।
তবে এক সময় দেখা যাবে, বাংলাদেশে বিএস৬ এর বাইরে কোনো ইঞ্জিনের মোটর সাইকেল আনা যাবে না। জ্বালানি জনিত কারণে তখন গ্রাহক ভোগান্তি উচ্চ আকারে বাড়তে থাকবে যদি দেশের ফুয়েলের মানের উন্নয়ন ঘটানো না হয়।
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks For Comment.