Header Ads Widget

Responsive Advertisement

বাংলাদেশে বিএস ৬ মোটর সাইকেলের কপালে শনি

বিএস ৬ বা ভারত স্ট্যান্ডার্ড ৬ ইঞ্জিনের ভারতীয় মোটর সাইকেলগুলোর কপাল বাংলাদেশে ভীষণ রকমের পোড়া। কেননা, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যে মানের জ্বালানি ব্যবহারের সুপারিশ করেছে, সে মানের জ্বালানি বাংলাদেশে অনুপস্থিত।


বর্তমান বাংলাদেশে অফিসিয়ালভাবে বিএস ইঞ্জিনের একমাত্র মোটর সাইকেল হিরো থ্রিলার ১৬০আর। ওদিকে, আন অফিসিয়ালভাবে বিএস ইঞ্জিনের কিছু মোটর সাইকেল পাওয়া যাচ্ছে। এসব হচ্ছে- ইয়ামাহা এফজেড এস ভার্সন , ইয়ামাহা এফজেড এক্স ১৫০, ইয়ামাহা এমটি ১৫, ইয়ামাহা আর ১৫ ভার্সন থ্রি (ইন্ডিয়ান), ইয়ামাহা আর ১৪ ভার্সন (ইন্ডিয়ান) ইত্যাদি।


মেনুয়ালে থাকা তথ্য অনুযায়ী- এসব মোটর সাইকেলে অবশ্যই সর্বনিম্ন ৯১ রনের গ্যাসোলিন ব্যবহার করতে হবে। আমাদের দেশে যাকে অকটেন নামে ডাকা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে বিভিন্ন ফুয়েল স্টেশনে বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচালিত অভিযানে দেখা গেছে, অকটেন বলে যা বিক্রি করা হচ্ছে, তার মান ৮৪ বা ৮৫ রন। তাছাড়া রয়েছে নানা কিছু মিশিয়ে ভেজাল ফুয়েল তৈরির প্রবণতা।

ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা গেছে, যখন বিএস বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ভারতে শুরু করা হয়, তখন সবার আগে সে দেশের সরকার সেখানকার ফুয়েল পাম্পগুলোকে নির্দেশ দেয় বিএস মানের জ্বালানি বিক্রি শুরু করতে। পাশাপাশি বিএস মানের জ্বালানি বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে।

কিন্তু আমাদের দেশে এ ধরণের কোনো কার্যক্রম পরিচালিত হতে দেখা যায়নি। অথচ বিএস ৬ ইঞ্জিনের মোটর সাইকেল বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ হচ্ছে এবং গ্রাহক তা কিনছে।

এরই মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে, বিএস ৬ ইঞ্জিনের মোটর সাইকেল মালিকরা বিপদে আছে। প্রায়শই তারা শরণাপন্ন হচ্ছেন, সার্ভিস সেন্টারের। কেননা, মানহীন জ্বালানি ব্যবহার করতে না পারায় মোটর সাইকেলের ইঞ্জিন পাগলামি করছে। থ্রটল রেসপন্স, মাইলেজে খারাপ অবস্থা নেমে এসেছে।

মোটর সাইকেল ভিত্তিক ভারতীয় বিভিন্ন ওয়েব সাইট পড়ে জানা গেছে, যদি বিএস ৬ মানের জ্বালানি বিএস ৬ ইঞ্জিনের মোটর সাইকেলে ব্যবহার করা না হয়, তাহলে মোটর সাইকেল যথাযথ পারফরম্যান্স দিবে না, এমনকি ইঞ্জিনের দীর্ঘস্থায়িত্ব দ্রুত হ্রাস পাবে।

বর্তমানে ভারতের বাজারে থাকা সব মোটর সাইকেলই বিএস ৬ এবং ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম এফআই। অথচ ঠিক একই মোটর সাইকেলগুলো বাংলাদেশে আনা হচ্ছে- বিএস ৪ ও ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম কার্বুরেটর করে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- ইয়ামাহা আর ১৫ ভার্সন ৩, বাজাজ পালসার এনএস ১৬০ এবিএস, টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৬০ ৪ভি এবিএস ইত্যাদির কথা।

তবে এক সময় দেখা যাবে, বাংলাদেশে বিএস৬ এর বাইরে কোনো ইঞ্জিনের মোটর সাইকেল আনা যাবে না। জ্বালানি জনিত কারণে তখন গ্রাহক ভোগান্তি উচ্চ আকারে বাড়তে থাকবে যদি দেশের ফুয়েলের মানের উন্নয়ন ঘটানো না হয়।


পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শেয়ার করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে সমর্থন করবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ