Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Hero Thriller 160R Dual Disc Single Channel ABS bs6 ১০ হাজার কিলোমিটার User Review


Hero Thriller 160R Dual Disc Single Channel ABS bs6 এর ইউজার রিভিউটি রেকর্ড করা হয় ০৮ অক্টোবর ২০২১। ব্যবহারকারী তানজির আহমেদ শিশির তার বাইকটি ১০ হাজার কিলোমিটারের বেশি চালিয়েছেন।

প্রথমে তিনি কিছু ভাল দিক সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।

শিশির বলেন, এর লুক ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ হয়েছে। বিশেষ করে হেডলাইট লাইটের আকৃতি, আলোর ধরণ, ফুয়েল ট্যাংকের আকৃতি, চেসিস বেশি পছন্দ হয়েছে।

এবিএসসহ মোট ব্রেকিং সিস্টেম সম্পর্কে তিনি বলেন, এবিএস, ডিস্ক - সব ব্রেকেই সন্তষ্ট। এবিএস খুব ভালভাবে কাজ করে।

Hero Thriller 160R Dual Disc Single Channel ABS bs6 এর ইঞ্জিন খুব স্মুথ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইয়ামাহা এফজেড এস ভি টু এর ইঞ্জিনের চেয়েও থ্রিলারের ইঞ্জিন বেশি স্মুথ লেগেছে। মাঝে একটু খারাপ শব্দ হচ্ছিল। কিন্তু ভাল্ব এডজাস্ট করার পর তা দূর হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, হিরো থ্রিলার ডাবল ডিস্ক সিংগেল চ্যানেল এবিএস বিএস ৬ থেকে প্রতি লিটার অকটেনে ঢাকা শহরে ৪২ কিলোমিটার পথ চলতে পারি। এর ইঞ্জিন যেহেতু বিএস৬, সেহেতু সব সময় অকটেন ব্যবহার করতে হয়। অফিসিয়ালভাবেও বলা হয়েছে- অকটেন ব্যবহার করতে।

তার মতে বর্তমান বাংলাদেশে ২ লাখ টাকা বাজেটে হিরো থ্রিলার ডাবল ডিস্ক সিংগেল চ্যানেল এবিএস বিএস ৬ সবচেয়ে ভাল একটি মোটর সাইকেল। এই বাজেটে একইসাথে এফআই, এবিএস, ফুল এলইডি লাইট সেটাপ খুব ভাল একটি বিষয়।

ভালদিকের সাথে তানজির আহমেদ শিশির বেশকিছু খারাপ দিকও উল্লেখ করেন। হিরোর অফিসিয়াল সার্ভিস সেন্টারের কর্মীরা কাজের প্রতি যত্নবান নন উল্লেখ করে শিশির বলেন, রামপুরা, শান্তিনগর, আগারগাঁও হিরো সার্ভিস সেন্টারে কাজ করিয়েছি। কিন্তু সার্ভিস মান সম্পন্ন লাগেনি। সার্ভিস সেন্টার কাজের প্রতি যত্নবান নয়। তারা সমস্যা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারেন না। সমাধান তো দূরের কথা। তাছাড়া অফিসিয়াল পার্টসের দাম অন্য কোম্পানির ১৬০সিসির মোটর সাইকেল থেকে বেশি মনে হয়েছে। অফিসিয়ালভাবে পেছনের ব্রেক প্যাড ২৪৫০ টাকা, সামনে ৪৫০ টাকা রাখা হয়। ক্লাচ প্লেট প্রায় ৪ হাজার টাকার উপর। কাস্টম গ্র্যাব রেইল ৭০০ টাকার উপর।

মাত্র ১০ হাজার কিলোমিটারে একবার ক্লাচ প্লেট পরিবর্তন করতে হয়েছে জানিয়ে শিশির বলেন, হিরোর সার্ভিস সেন্টারে পার্টসের দাম অত্যাধিক হওয়ায় বাহির থেকে ক্লাচ প্লেট ২৫০০ টাকায় কিনে তা ফিটিং করেছি।

তাছাড়া মাত্র ১০ হাজার কিলোমিটারে ব্যটারিতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে জানিয়ে তানজির আহমেদ শিশির বলেন, সার্ভিস সেন্টার বলেছে ব্যাটারি পুরো নষ্টের পথে। অফিসিয়াল ব্যাটারির দাম ৪ হাজার টাকা। বর্তমানে মাঝেমাঝে সেলফ স্টার্ট দিতে গেল মিটার রিস্টার্ট নিচ্ছে।

তিনি বলেন, সিটি ও হাইওয়েতে চালাতে বেশ মজা লাগলেও পেছনের সাসপেনশনের জন্য খানিকটা কষ্ট হয়। একটু ভাঙ্গাচোরায় চালালে কোমর ব্যথা শুরু হয়।

টপ স্পিডে অসন্তষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, টপ স্পিড কম। ১২২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পেয়েছি। ১৬০ সিসি হিসেবে আরও একটু দরকার ছিল।

হেড লাইটের আলোর অবস্থানও তার কাছে ভাল লাগেনি। তিনি বলেন, লোবিমের আলো একটু উপরের দিকে উঠে যায়। ফলে মোটর সাইকেলের খুব সামনে কী আছে তা দেখতে সমস্যা হয়। ফগ লাইট ইনস্টল করলে এ সমস্যা দূর করা সম্ভব।

তিনি বলেন, দুই পাশের সুইচের অবস্থান অসুবিধাজনক। আঙুলের সাহায্যে এসব নাগাল পেতে কষ্ট হয়। তাছাড়া গ্র্যাব রেইলের অবস্থান পিলিওনের জন্য বেশ অসুবিধাজনক।

রক্ষণাবেক্ষনের মধ্যে এই ১০ হাজার কিলোমিটারে লেগেছে, দুইবার সামনের ও পেছনের ব্রেক প্যাড পরিবর্তন, একবার বাটিসহ ক্লাচ প্লেট পরিবর্তন।


দেখতে পারেন ভিডিওটি

**আরো দেখুন :

* Hero Thriller 160r BS6 Fi ABS এর মাইলেজে মন ঠাণ্ডা

কী আছে Hero Thriller 160r BS6 Fi ABS এ

Hero Xtreme 160r BS6 ABS Bangladesh এ Thriller হয়ে


* এগুলো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত মতামত। সবার মতে সাথে তার মতামত না-ও মিলতে পারে*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ