Header Ads Widget

Responsive Advertisement

আরে বাপরে, ১৫০ সিসিতে ইয়ামাহার এডভেঞ্চার ক্রসার


খুব অল্প কিছু তথ্য নিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ইয়ামাহা ছোট্ট আকৃতির এডভেঞ্চার মোটর বাইক উদ্বোধন করেছে। ক্রসার নামের এই মোটর বাইকের ভেরিয়েন্ট দুটো, একটি এস, অপরটি জেড। ১৫০ সিসির ইঞ্জিন সমৃদ্ধ এই মোটর বাইকে রয়েছে এবিএস ব্রেকিং সিস্টেমও।

বর্তমানে শুধুমাত্র ব্রাজিলের বাজারে বিক্রি শুরু করা Yamaha Crosser 150 ABS এর দাম চলছে ১৫ হাজার ৫৯০ মার্কিন ডলার।

চলুন, হালকার উপর ঝাপসা করে জানি এর মধ্যে কী কী বৈশিষ্ট আছে।

নতুন ইয়ামাহা ক্রসারের গঠন লম্বাটে। এটা দেখতে অফরোড এবং ডার্ট মোটর বাইকের মতন।

ইয়ামাহা ক্রসার ১৫০ জেড এবং এস এর ইঞ্জিন

ইয়ামাহা ক্রসার ১৫০ এর ইঞ্জিন ১৪৯ সিসির, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এয়ার কুল্ড, 
এসওএইচসি, টু ভাল্ব, ফোর স্ট্রোক।

ম্যাক্সিমাম পাওয়ার ১২.২ বিএইচপি ও ম্যাক্সিমাম টর্ক ১২.৭৪ নিউটন মিটার। রয়েছে ৫টি গিয়ার।

এর বোর ৫৭.৩ মিমি., স্ট্রোক ৫৭.৯ মিমি.।
ইয়ামাহা ক্রসার ১৫০ এর স্পোক রিম

উভয় চাকা স্পোক রিমের। সামনের রিমের আকার ১৯, পেছনের রিমের ১৭। টায়ার হিসেবে দেয়া হয়েছে ডুয়েল পারপাস টায়ার। সামনের টায়ার ৯০/৮০ ও পেছনের টায়ার ১৩০/৭০। উভয় টায়ার টিউবলেস।

সাসপেনশনের মধ্যে সামনে টেলিস্কপিক ও পেছনে মনোশক সাসপেনশন।

ব্রেকিং সিস্টেমের মধ্যে সামনে পেছনে ডিস্ক ব্রেকের সাথে রয়েছে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস ব্রেকিং।

সিটিং পজিশন আপরাইট, সিট সিংগেল পার্ট, হ্যান্ডেল সিঙ্গেল পার্ট।
ইয়ামাহা ক্রসার ১৫০ এর হেডলাইন হ্যালোজেন বাল্বের

এছাড়া উভয় ভেরিয়েন্টে একটি ফ্লাই স্ক্রিনসহ একটি ছোট হেলোজেন বাল্ব হেডল্যাম্প রয়েছে। ব্যাকলাইট, টার্নিং লাইটও বাল্বের। তাছাড়া সাইড-মাউন্ট করা হাই-স্লাং এক্সজস্ট এবং এয়ার স্কুপসহ ফুয়েল ট্যাঙ্ক এক্সটেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। ইনস্ট্রুমেন্ট কাস্টার করা হয়েছে সেমি-ডিজিটাল।

এদিকে, ক্রসার জেড ভেরিয়েন্টে দেখা গেল- সামনের চাকার মাডগার্ড একটু উচুঁতে করা হয়েছে। যেটা এস ভেরিয়েন্টে নেই। আসলে ক্রসার জেডকেই পুরো দস্তর এডভেঞ্চার মোটর বাইকের সামনের চাকার মাডগার্ড একটু উচুঁতে করা হয়েছে। এছাড়াও সামনের সাসপেনশনে রয়েছে গার্ড।

ক্রসার জেড দুটো রংয়ের পাওয়া যাচ্ছে ব্রাজিলের বাজারে। একটি কম্পিটিশন ব্লু, অপরটি ডাকার সান্ড।

ক্রসার এস-ও দুটো রংয়ের পাওয়া যাচ্ছে ব্রাজিলের বাজারে। একটি ব্ল্যাক ইকলিপস, অপরটি স্পোর্টস হোয়াইট।

বাংলাদেশের বাজারে এসব মোটর বাইক আসার সম্ভবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। যদি এটি ইন্দোনেশিয়ার বা থাইল্যান্ডের হতো, তাহলে একটা কথা ছিল। তবে যদি এমন হয় যে, কখনও এটি ইন্দোনেশিয়া বা থাইল্যান্ডে উদ্বোধন বা বিক্রি শুরু হয়, তাহলে হয়ত বাংলাদেশে আসার একটি সম্ভবনা সৃষ্টি হবে।

না হলে বিদেশের ছবি-ভিডিওই হবে বাংলাদেশীদের ভরসা।

পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শেয়ার করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে সমর্থন করবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ