ইঞ্জিন অয়েল বিক্রির দোকান |
বাংলাদেশের রাস্তায় চলাচলরত মোটর বাইকের ইঞ্জিনগুলোয় কয়টি ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল দেয়া হচ্ছে? কারও জানা আছে? সেদিন হঠাৎ করেই মনে ভাবনা এলো যে, বাংলাদেশের রাস্তায় চলাচলরত মোটর বাইকে কত প্রকার ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল দেয়া হচ্ছে। যেই ভাবনা সেই কাজ। উত্তর বের করার জন্য ঢাকার মিরপুর ৬০ ফিট ও মিরপুর ১০ নম্বর বাইক পট্টিতে হালকা ঢু দিই।
যেতে যেতে ভাবছিলাম, ৫০টার বেশি ব্র্যান্ড হবে না। কিন্তু কী সর্বনাশা ব্যাপার। ৫০ পার হয়ে ৬০ এর কোঠায় চলে যায় ব্র্যান্ডের সংখ্যা ! সাদা কাগজে নাম টুকতে টুকতে হাত ব্যথা হয়ে আসছিল। শেষ পর্যন্ত ৬০ এ গিয়েই থেমে যাই। যদি সেদিন বংশালে যেতে পারতাম, তবে সেঞ্চুরি করতে পারতাম বলে বিশ্বাস জেগেছিল।
এবারে আসি গভীর কথায়। এই যে ৬০ ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েলের দেখা পেলাম, এর মধ্যে বেশকিছু হরহামেশা চোখে পড়ে, এসবের ব্যবহার অত্যাধিক বেশি। কিন্তু এই ৬০টির মধ্যে ৮০ ভাগেরও বেশি ইঞ্জিন অয়েল ব্র্যান্ডকে তো দেখাই যায় না, পাওয়া তো পরের কথা।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ওই ৮০ ভাগ ইঞ্জিন অয়েলের মধ্যকার কিছু ব্র্যান্ডের নাম শুনেছি, কিন্তু সরাসরি কেবল সেদিনই দেখলাম। আবার কিছু ইঞ্জিন অয়েল আছে, সেসবের নাম ব্যবসায়ীদের মুখ থেকে জেনেছি, কিন্তু আমি এসবের চেহারা আজও দেখতে পারিনি।
কথা হচ্ছে- এতো ব্র্যান্ডের মোটর বাইক ইঞ্জিন অয়েল যাচ্ছেটা কোথায়? এসব তো আর ফেলে দেয়া হচ্ছে না। মার্কেট ঘুরে এমন কথাই পাওয়া যায়।
এসবের ভীড় দেখে মনে প্রশ্ন আসে- ওই ৬০টি ব্র্যান্ডের মধ্যে ৮০ ভাগ কী আসলেই কার্যকর ইঞ্জিন অয়েল নাকি ভেজাল? যেখানে ভাল ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েলও নকল করে বাজারজাতকরণ করেন অসাধুরা।
ওই ৮০ ভাগের যেসব ব্র্যান্ড, সেসবের না আছে ভাল পোর্টফোলিও, না আছে বাজারে তাদের কর্মীদের সরব উপস্থিতি। তাহলে মনে কেন প্রশ্ন আসবে না, সেসব আসল নাকি নকল?
বাজার ভর্তি এমন সব ইঞ্জিন অয়েলের মধ্যে থেকে আমি কিছু কথা বলছি, যা মেনে চললে হয়ত ভেজাল ইঞ্জিন অয়েলের কবল থেকে মুক্ত থাকার সম্ভবনা বেশি। যেমন :
১. বহুল প্রচলিত, পরিচিত ও ভাল ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার।
২. সুনাম সম্পন্ন দোকান/সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিন অয়েলের শোরুম-ডিলার থেকে ইঞ্জিন অয়েল ক্রয় করা।
৩. কম দাম, কম দাম করে ইঞ্জিন অয়েল ব্র্যান্ডের পেছনে না ছোটা
ইত্যাদি
এবার পড়ে নিন সেই ৬০ ব্র্যান্ডের নাম। দেখুন কোনটা আপনি ব্যবহার করেন, পছন্দ করেন, নাম জানেন বা জানেন না। এসব হচ্ছে-
১. হ্যাভোলিন
২.ক্যাস্ট্রল
৩. ইয়ামাহালুব
৪. মতুল
৫. শেল
৬. জিক
৭. লিকুইমলি
৮. পেট্রনাস
৯. মবিল ১
১০. বাজাজ ডিটিএসআই
১১. হিরো
১২. সুজুকি
১৩. টিভিএস
১৪. মটোরেক্স
১৫. এসপিএক্স
১৬. হোন্ডা
১৭. রেপসল
১৮. সাউদিয়া
১৯. অকটানাস
২০. রেভনল
২১. গালফ
২২. এডেনাস
২৩. পাকেলো
২৪. বিজল
২৫. গ্যাজপ্রমনেফট
২৬. নকস
২৭. এপজল
২৮. জার্মান অয়েল
২৯. টোটাল
৩০. পিটিআই
৩১. ভিসকো
৩২. সুপারভি
৩৩. কেআইএক্সএক্স
৩৪. সুনোভো
৩৫. ভ্যালভোলিন
৩৬. সিনোপ্যাক
৩৭. জাজিরা
৩৮. সুপারএল
৪০. ভেপ্রো
৪১. ওয়োলভার
৪২. লুব অয়েল
৪৩. লুব্রেক্স
৪৪. জিল
৪৫. রোডম্যাক্স
৪৬. জার্মানরেস
৪৭. হিপ্রো
৪৮. অলিম্পাস
৪৯. ডানজোল
৫০. কোডেক্স
৫১. ডানলপ
৫২. বুলমার্ক
৫৩. কিংস
৫৪. মাক
৫৫. রিডা
৫৬. ইনোস
৫৭. ইজিও
৫৮. ভিডল
৫৯. রাইডার
৬০. ওলিও
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks For Comment.