Header Ads Widget

Responsive Advertisement

কেন Apache RtR 160 4V এর টপ স্পিড-রেডি পিকাপ অন্য ১৬০-১৬৫ সিসি মোটর বাইক থেকে বেশি (ভিডিওসহ)


Tvs Apache RtR 160 4V মোটর বাইক যেসব কারণে বাংলাদেশের তরুণ মোটর বাইকারদের মনে জায়গা করে নিয়েছে, তার প্রধান একটি কারণ “গতি”। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে, বাংলাদেশে ১৬০ ও ১৬৫ সিসি সেগমেন্টে (স্পোর্টস বাইক ব্যাতিত) যত মোটর বাইক আছে, তার মধ্যে কুইক এক্সিলারেশন বা রেডি পিকাপ এবং টপ স্পিড সবচেয়ে বেশি এই Tvs Apache RtR 160 4Vতে।

কিন্তু প্রশ্ন আসে, কেন বেশি?

এ নিয়েই আজকের এই পোস্ট।

যেসব কারণে Tvs Apache RtR 160 4V এর টপ স্পিড ও রেডি পিকাপ বাংলাদেশের অন্য ১৬০ ও ১৬৫ সিসি (স্পোর্টস বাইক ব্যাতিত) মোটর বাইক থেকে সবচেয়ে বেশি, তার কারণগুলো হচ্ছে-

০১. ওভার স্কয়ার ইঞ্জিন : বিষয়টি বুঝতে একটু কঠিন লাগতে পারে। বোর স্ট্রোকের পরিমাপ অনুযায়ী ইঞ্জিনকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ওভার স্কয়ার ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনের বৈশিষ্ট হচ্ছে- স্ট্রোকের চেয়ে বোরের মাপ বড়। টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৬০ ৪ভি এর ওনার্স মেনুয়ালের তথ্য মতে- এই মোটর বাইকের বোর ৬২ মিমি. ও স্ট্রোক ৫২.৯ মিমি।

ওভার স্কয়ার ইঞ্জিনে স্ট্রোকের চেয়ে বোরের মাপ বেশি থাকায় এ ইঞ্জিনের মোটর বাইকগুলোর টপ স্পিড ও রেডি পিকাপ বেশি হয় আন্ডার স্কয়ার ও স্কয়ার ইঞ্জিন থেকে।

প্রশ্ন হচ্ছে- আন্ডার স্কয়ার ও স্কয়ার ইঞ্জিন আবার কী জিনিস? সংক্ষেপে বলি- আন্ডার স্কয়ার ইঞ্জিনের বোরের চেয়ে স্ট্রোকের পরিমাপ বেশি এবং স্কয়ার ইঞ্জিনে বোর ও স্ট্রোকের পরিমাপ সমান থাকে। আন্ডার স্কয়ার ইঞ্জিনে উচ্চ গতির চেয়ে টর্ক পাওয়া যায় ভাল ও স্কয়ার ইঞ্জিনে টর্ক এবং গতির অনুপাত প্রায় সমান পাওয়া যায়।  এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব অন্য একটি পোস্টে।

বিষয়টি আরও পরিষ্কার করি- বিশ্বের যত উচ্চ গতির মোটর বাইক দেখা যায়, সেসবের ইঞ্জিনও আন্ডার স্কয়ার করেন ইঞ্জিনিয়াররা। বাংলাদেশে আন্ডার স্কয়ার ইঞ্জিনওয়ালা মোটর বাইকের আরও উদাহরণ আছে- যেমন সুজুকি জিএসএক্স আর১৫০ এবং হোন্ডা সিবিআর ১৫০ আর (২০১৫) থাই সংস্করণ।

হিসাব পরিষ্কার যে, ইঞ্জিন আন্ডার স্কয়ার হওয়ায় টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৬০ ৪ভি এর গতি এবং রেডি পিকাপ বাংলাদেশের অন্য ১৬০ ও ১৬৫ সিসি (স্পোর্টস বাইক ব্যাতিত) মোটর বাইক থেকে সবচেয়ে বেশি।

০২. অয়েল কুল্ড : টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৬০ ৪ভি এর ম্যাক্সিমাম পাওয়ার ১৬.২৭ বিএইচপি এবং ম্যাক্সিমাম টর্ক ১৪.৮ নিউটন মিটার। তার উপর আন্ডার স্কয়ার ইঞ্জিন। এমন ক্ষমতা ব্যবহারের সময় ইঞ্জিনে বেশ চাপ পড়ে। ফলে ইঞ্জিনও সেই রকম গরম হতো যদি এই অয়েল কুল্ড ফিচার দেয়া না হতো। এই ফিচার দেবার ফলে ইঞ্জিন মাত্রাতিরিক্ত গরম থেকে রক্ষা পায়, ফলে পাওয়ার লস হয় না। যার দরুণ একটানা লম্বা সময় রাইড করলেও অটুট থাকে রেডি পিকাপ ও টপ স্পিড।

০৩. কোম্পানি চেয়েছে : কী? বোঝা যায় না? হ্যাঁ, এটা তো সত্যই, কোম্পানি চেয়েছে বলেই টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৬০ ৪ভি এর গতি ও রেডি পিকাপ বাংলাদেশের অন্য ১৬০ ও ১৬৫ সিসি (স্পোর্টস বাইক ব্যাতিত) মোটর বাইক থেকে সবচেয়ে বেশি।

যত গতি তত ক্ষতি- বলে শেষ করলাম আজকের পোস্ট। প্রয়োজনে দেখতে পারেন নিচের ভিডিওটি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ