টায়ারের টিউব |
উদাহরণ দিই।
যেমন : ভারতীয় ব্র্যান্ড হিরো এর এইচএফ ডিলাক্স ১০০ বিএস ৪ এবং বিএস ৩, গ্ল্যামার বিএস ৩। ভারতীয় অপর ব্র্যান্ড বাজাজের রয়েছে- প্লাটিনা ১০০ ইএস, সিটি ১০০ ইএস। তাছাড়া ডিস্কভারের ১১০-১২৫ সিসির মোটর বাইকেও আছে টিউব টায়ারের ব্যবহার।
অবশ্য ২০২১ সালে বিক্রিত ডিস্কভারের ১১০-১২৫ সিসির মোটর বাইকে দেয়া হচ্ছে টিউবলেস টায়ার। পুরাতন ডিস্কভার ১১০-১২৫ সিসির মোটর বাইক যারা কিনেছিলেন, তাদের অনেকে এখনও টিউব টায়ার নিয়ে ঘুরছেন। বাংলাদেশি ব্র্যান্ড রানারের বেশকিছু মোটর বাইকেও রয়েছে টিউব টায়ারের ব্যবহার।
আজকের পোস্টে আলোচনা হবে- কী কী দিয়ে, কীভাবে, কত খরচে, কোথা থেকে টিউব টায়ারকে টিউবলেস টায়ারে রূপান্তর করা যাবে।
০১. কী কী দিয়ে : টিউব টায়ারকে টিউবলেস টায়ারে রূপান্তর করতে প্রথম উপকরণ- এলয় রিম। আপনার মোটর বাইকের চাকা এলয় রিম দ্বারা নির্মিত হতে হবে। (স্পোক রিমের মোটর বাইকের টিউব টায়ারকে টিউবলেস টায়ারে রূপান্তর করা যায়, সেটা একটু জটিল সেটা নিয়ে অন্যদিন আলোচনা হবে)। দ্বিতীয় উপকরণ হচ্ছে- নজেল। যেটা দিয়ে বাতাস প্রবেশ করানো হবে। এই নজেল চাকা মেরামতের দোকানে পাওয়া যাবে। তৃতীয় উপকরণ- টায়ার জেল। আপনার মোটর বাইকের টায়ার যখন টিউবলেস করার কাজ শেষ হবে, তখনই দরকার পড়বে টায়ার জেল। টায়ার জেল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব অন্য এক পোস্টে।
নজেল |
০২. কোথা থেকে ও কীভাবে : দুই চাকা খুলে নিয়ে যেতে হবে লেদের ওয়ার্কশপে। তারা টায়ার থেকে টিউব খুলে বের করে ফেলবে। এরপর রিমের মধ্যে কিনে আনা নজেল যন্ত্রপাতির সহযোগিতায় সেট করবে। এরপর টায়ার ফিটিং করে ফেলবে। ব্যস, হয়ে গেল টিউবলেস টায়ার।
লেদের ওয়ার্কশপ |
০৩. কত খরচে : ভয় পাচ্ছেন? না জানি কত খরচ? নাহ্, তেমন না, খুব সামান্যই বটে। যে নজেল দুই রিমে প্রতিস্থাপনের কাজ করবে লেদের ওয়ার্কশপ সেই নজেল একজোড়ার দাম স্থান-মানভেদে পড়তে পারে ১৫০ থেকে ২০০টাকা। দোকানদারের সাথে ভালভাবে কথা বলে নিবেন যে, এই নজেল মোটর বাইকের রিমে বসানোর জন্য নেয়া হচ্ছে। নাহলে কিন্তু ভুলে চার চাকার যানবাহনের নজেল এনে বিপদ বাড়াবেন।
চাকা মেরামতের দোকান |
এবার লেদ ওয়ার্কশপের খরচ। এখানে মজুরি নিতে পারে এলাকাভেদে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। তবে কাজ করানোর পর ভালভাবে চেক করে নিবেন যে, কাজটি ১০০ % হয়েছে কিনা। এই কাজে ০ দশমিক ১ ভাগও ছাড় দেবার সুযোগ নেই।
সবই গেল। কিন্তু বাকি আছে আরও। শেষে আছে টায়ার জেল। এটা যদি ব্যবহার না করা হয়, তাহলে টিউবলেস করেও কোনো লাভ নেই। কেননা, টায়ারে লোহা, পেরেকের মতন জিনিস প্রবেশ করে হাওয়া বের করে দেবার আশঙ্কা থেকেই যাবে যদি টায়ার জেল ব্যবহার করা না হয়। দুই টায়ারের জন্য জেল কিনতে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
আরো কিছু খরচ আছে, যেমন- মোটর বাইক ওয়ার্কশপ ও চাকা মেরামত দোকানের খরচ। মোটর বাইক ওয়ার্কশপ থেকে দুই চাকা খুলিয়ে নিয়ে যেতে হবে চাকা মেরামত দোকানে। চাকা মেরামত দোকান থেকে টায়ার খুলে রিম দুটো নিতে হবে লেদের ওয়ার্কশপে। এখানে নজেল প্রতিস্থাপনের কাজ শেষে আবার চাকা মেরামতের দোকানে এসে টায়ার সেট করতে হবে রিমে। এখানে জেল দেবার কাজটি সেরে নিলে সবচেয়ে ভাল। একইসাথে এখানেই চেক করে নিতে পারবেন, ১০০ % টিউবলেস হয়েছে কিনা। সবার শেষে যেতে হবে মোটর বাইক ওয়ার্কশপে মোটর বাইকে চাকা সেট করার জন্য।
মোটর বাইক ওয়ার্কশপ (দুইবার যাতায়াত) ও চাকা মেরামত দোকানের খরচ (দুইবার যাতায়াত) লাগবে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা।
মোট খরচ ধরলাম- ২০০+১৫০+৫০০+২০০= ১০৫০ টাকা (সবক্ষেত্রে আমার দেয়া খরচের সর্বোচ্চ অংকটাই ধরলাম)।
** কী করবেন টায়ারের টিউব? : এই কাজের পর মোটর বাইকের টায়ারের টিউব অবসর জীবনে চলে যায়। বেচারাকে কারও কাছে বিক্রি করে চাকরিতে নিয়োজিত করা যায়।
সুতরাং শেষ আজকের পোস্ট।
2 মন্তব্যসমূহ
ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ, এই ওয়েব সাইটে আপনার কমেন্ট প্রথম কমেন্ট।
মুছুনThanks For Comment.